২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন, খরচ, বেতন সহ বিস্তারিত

২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন, খরচ, বেতন সহ বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কাজের ভিসা পাওয়া যায়? ভিসা পেতে কি কি ধরনের ডকুমেন্ট প্রয়োজন? কিভাবে আবেদন করতে হয় এ সম্পর্কিত তথ্য এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

প্রতি বছর সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে শ্রমিক নেওয়া হয়।  কেননা সেই দেশে অনেক শ্রমিক সংকট হয়ে থাকায় বিভিন্ন দেশের দক্ষ শ্রমিকদের সেই দেশে কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।  এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে আপনি অস্ট্রেলিয়া থেকে কাজের ভিসা পাবেন? কিভাবে আবেদন করতে হয় এ সম্পর্কিত তথ্য এখানে দেওয়া হলো-

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ কত?

একজন শ্রমিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হাতে পাওয়া পর্যন্ত কত টাকা খরচ হতে পারে? এমন প্রশ্ন অনেকেরই জানার ইচ্ছা থাকে।  নিচের উদাহরণটি দেখলে বুঝতে পারবেন কত টাকা খরচ হতে পারে।

ভিসার আবেদনের পূর্বে আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে।  বাংলাদেশে দুইভাবে পাসপোর্ট করা যায়।  একটি হচ্ছে 48 পাতা পাসপোর্ট যা  তৈরি করতে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়।  অপরটি হচ্ছে ৭২ পাতা পাসপোর্ট এটি তৈরি করতে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়।

এখন পাসপোর্ট থাকার পর বিদেশে কাজের ভিসা পেতে আর কি প্রয়োজন? এরপর প্রয়োজন হচ্ছে বিদেশে যে কাজটি করবেন সেই কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট।  কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে সেখান থেকে অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট প্রদান করে।  এক্ষেত্রে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না তবে ক্ষেত্রে বিশেষ দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

আর কোন খরচ নেই এখন ভিসার আবেদন করতে হবে।  বিশাল আবেদন করতে মোট কত খরচ হয়? তাদের ভিসা পাওয়ার জন্য সরকারিভাবে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হয়। এটা সরকারিভাবে বাংলাদেশের ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে দেওয়া হয়।

তাহলে বলা যায় একজন শ্রমিকের কাজের ভিসার আবেদন করা পর্যন্ত সরকারিভাবে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যায়।  এছাড়া যদি কেউ বেসরকারি অথবা কোন এজেন্সি এর মাধ্যমে যেতে চায় তাহলে তাকে আট থেকে 12 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে?

সরকারি মাধ্যমে কাজের ভিসা পেতে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয় ।

বেসরকারি মাধ্যমে কাজের ভিসা পেতে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা।

এজেন্সির মাধ্যমে কাজের ভিসা পেতে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়

চারটি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়।

যেমন

  • শিক্ষার উদ্দেশ্যে,
  • কাজের উদ্দেশ্যে,
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্যে,
  • ব্যবসার উদ্দেশ্যে

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া দূরত্ব সর্বমোট আট হাজার কিলোমিটার।  বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে আকাশ  পথে।  এছাড়া অন্য কোন পথ না থাকায়।  এদেশে যাওয়ার জন্য দুই থেকে তিনটি বিরতি নিতে হয়।  একজন ব্যক্তি দুই থেকে তিন দিন সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে পারে।

আমরা যদি সময়ের হিসাব করি তাহলে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি ফ্লাইটে থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানো সম্ভব।  এটা হতে পারে কাজের উদ্দেশ্যে, হতে পারে শিক্ষা কিংবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্য।  যে কারণেই ভ্রমণ করা হোক না কেন 48 থেকে 72 ঘন্টা সময় প্রয়োজন হবেই।  তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া সময়ের পার্থক্য

এই দুই দেশের সময়ের পার্থক্য মোটামুটি ৫ ঘন্টার ব্যবধান। বাংলাদেশ থেকে তারা মোটামুটি ৫ ঘণ্টা সময় এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে যদি রাত বারোটা বাজে তবে একই সময় অস্ট্রেলিয়াতে ভোর পাঁচটা বাজে।  এ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ থেকে এ দেশের ৫ ঘন্টা সময়ের ব্যবধান রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বমোট দূরত্ব ৭১৭১ কিলোমিটার। এই দূরত্বের কারণে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে যেতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া বিমান ভাড়া কত?

যেহেতু এই দুই দেশের যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা হচ্ছে   আকাশ পথ। তাই যে সমস্ত ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়া যেতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই বিমানে করে যেতে হবে। এটা যে কোন উদ্দেশ্যে এই যাত্রা করুক না কেন । এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই দুই দেশের দূরত্ব অনুযায়ী বিমান ভাড়া কত টাকা হতে পারে? নিচের চারটি দেখলে বুঝতে পারবেন এই দুই দেশের মধ্যে কোন বিমানের কত টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

Check visa price – https://fly4.emirates.com

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বেতন কত?

বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকম বেতন হয়ে থাকে। তবে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন কাজের বেতন নির্ধারণ করা হয় এক লক্ষ থেকে 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা।  এটা সকল দেশের সমান নয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যে সমস্ত কাজের ভিসা প্রদান করা হয় এই সমস্ত শ্রমিকের সর্বনিম্ন 1 লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন বিস্তারিত

দুটি পদ্ধতি  ব্যবহার করে আবেদন করা যায়। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে অনলাইনে আবেদন। এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে সরাসরি বাংলাদেশের পাসপোর্ট এজেন্সি থেকে আবেদন। অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর স্ক্যান কপি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এছাড়া অফলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদন করার সময় সকল ধরনের কাগজপত্র সাথে করে করে নিতে হবে। যাতে আবেদন শুরু করার সময় সব কাগজপত্র পাওয়া যায়।

কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদনের লিংক এখানে

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

একজন শ্রমিক দীর্ঘদিনের কাজ করলে সে দেশের সরকার তাকে নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে থাকে। এই কাজ করা সর্বনিম্ন 10 বছর হতে হবে। এবং সেই শ্রমিকের মাসিক আয় এক লক্ষ টাকার টাকা থাকতে হবে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার কোন স্থানীয় নাগরিককে বিয়ে করলে সেই দেশের নাগরিক হওয়া যায়।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম-কানুন

নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের সাইট ভিজিট করতে পারেন। আমরা প্রতিনিয়ত এখানে কাজের ভিসা সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য আপডেট করে থাকি।

FAQs

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর নাম কি?

রাজধানীর নাম হচ্ছে – Canberra

অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার নাম কি?

মুদ্রার নাম – অষ্ট্রেলিয়ান ডলার

অস্ট্রেলিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত?

অস্ট্রেলিয়া বা কমন‌ওয়েলথ অফ অস্ট্রেলিয়া হলো ওশেনিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। ওশেনিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ড ও তাসমানিয়াসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গঠিত হয়েছে। দেশটির মোট আয়তন ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গ কি.

অস্ট্রেলিয়া পতাকা ছবি?

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশ কয়টি?

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের ৩টি দেশ অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও ইন্দোনেশিয়ার অংশবিশেষ

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম কি?

প্রধানমন্ত্রীর নাম – অ্যান্টনি আলবেনিজ

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান খাবার কি?

প্রধান খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো রাইস বিয়ার, যা দেবতাদের কাছে এক সত্যিকার খাবার আইটেম হিসেবেও বিবেচিত হয়। চাল কার্বি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুয়োরের মাংস, মহিষের মাংস, মুরগির মাংস, মাছ এবং কীটপতঙ্গসহ একাধিক প্রোটিন দিয়ে রান্না করা হয়। তাদের রন্ধন ও জীবনধারায় বাঁশও একটি প্রধান উপাদান।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ধর্ম কি?

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ অন্তত মৌখিকভাবে (৬৪%) খ্রিস্ট-ধর্মের অণুসারী। কিন্তু প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৩০%) লোক কোন ধর্মের সাথেই একাত্মতা প্রদর্শন করে না। বাকীরা বিভিন্ন ধর্মের অণুসারী এবং এদের মধ্যে মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্রুত বর্ধনশীল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নদীর নাম কি?

প্রধান নদীর নাম – মারি (Murray)

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য কি?

মুখ্য রপ্তানি দ্রব্য: আকরিক এবং ধাতু; উল, খাদ্য ও লাইভ প্রাণী; জ্বালানি, পরিবহন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, হিউ জ্যাকম্যান, নিকলে কিডম্যান, হিথ লেজার। আমদানি পার্টনার: চীন ১৯.২%, ১২.১% মার্কিন, জাপান ৭.৮%, সিঙ্গাপুর ৫.৩%, ৫.১% জার্মানি। রপ্তানি পার্টনার: চীন ২৬.৪%, ১৯.১% জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ৯.২%, ভারত ৬.৪%, তাইওয়ান ৩.৭%।

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের বেতন কত?

  • অস্ট্রেলিয়ায় ক্লিনার কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা।
  • অস্ট্রেলিয়ায় শ্রমিকদের কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা।
  • অস্ট্রেলিয়ায় লেবারের কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা।
  • অস্ট্রেলিয়ায় কৃষি কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা।

অস্ট্রেলিয়া প্লেয়ার লিস্ট

অস্ট্রেলিয়া খেলোয়াড়
  • স্টিভেন স্মিথ
  • অ্যালেক্স ক্যারি
  • ট্রেভিস হেড
  • ক্যামেরন গ্রিন

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট প্লেয়ার নাম

অস্ট্রেলিয়া খেলোয়াড়
  • স্টিভেন স্মিথ
  • অ্যালেক্স ক্যারি
  • ট্রেভিস হেড
  • ক্যামেরন গ্রিন

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট জার্সি

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ছবি ২০২৪

শেষ কথা

আশা করি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে আর কোন তথ্য জানার নেই। কেননা আমরা এ বিষয়ে সকল ধরনের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে এই ধরনের পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত কোন ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হলে আমাদের সাইট ভিজিট করতে পারেন।

Leave a Comment