iQOO 9 SE Reviews: কী বৈশিষ্ট্য ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নির্দেশিকা

আজ আমরা আলোচনা করব, iQOO 9 SE মডেলের একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন সম্পর্কে। কি কি বৈশিষ্ট্য  থাকছে এই স্মার্টফোনে  এবং কিভাবে  সুন্দর ভাবে ব্যবহার করা যায় সেই নির্দেশিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

iQOO 9 SE হল ভিভো মোবাইল টপ টেন মোবাইল মডেল গুলোর মধ্যে একটি।  যার রয়েছে সকল ধরনের আকর্ষণীয় ফিচার। প্রায় যে তুলনা হয়েছে অনেক ওপরে। কেননা   ভিভো মোবাইল ব্র্যান্ড সেরা 10 মোবাইলের স্থানে রয়েছে এই মডেলটি।

আরো দেখুন Apple TV লোড সমস্যা সমাধান করবেন কিভাবে?

iQOO 9 SE স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নির্দেশিকা

অন্যান্য স্মার্টফোনের মতো  এই মোবাইল ফোন  টি ব্যবহার করা যাবে। তুমি কি অন্যান্য মোবাইল ফোনের   ফিচারস গুলি থেকে সামান্য আলাদা।  কেননা এর আলাদা হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে এর বাজার মূল্য। এবং এর ডিসপ্লে কোয়ালিটি থেকে শুরু করে সকল ধরনের পারফরম্যান্স।  কারণ এটি  ভিভো মোবাইল এর সেরা 10 মোবাইলের  স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্যান্য এক্সপেন্সিভ মোবাইল গুলোর মতই এটি ব্যবহার করতে পারবেন নিঃসন্দেহে।  এটি ব্যবহার করে অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। যেটা অন্যান্য মোবাইল ফোনে নাও পারেন।  তাই আমি বলবো আপনার জন্যই মোবাইল ফোন দিয়ে একটি সেরা নির্বাচন হবে। 

iQOO 9 SE  ডিসপ্লে-

VIVO iQOO 9 SE মোবাইল ফোন ডিসপ্লে পেন্দা গ্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।  যার জন্য এটাকে চতুর্দিক থেকে একটি ট্রাইঅ্যাঙ্গেল মত মনে হয়। এ মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে টাচস্ক্রিন অনেক সুন্দর গ্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে স্মার্টফোনটি অনেক মজবুত। সাধারণত অল্প আঘাতে এর ডিসপ্লের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।

ডিসপ্লে রেজুলেশন 1080 x 2400 pixels হওয়াতে 4k ভিডিও রেন্ডারিং করা যায়। ডিসপ্লের কালার কোয়ালিটি অসাধারণ। বিশেষ করে ভিডিও বা গেম খেলার সময় ফোনের ডিসপ্লে কালার কোয়ালিটি অনেক সুন্দর মনে হয়। এজন্য ব্যবহারকারীদেরকে এটি অনেক বেশি আকৃষ্ট করতে পেরেছে।

ব্যাটারি এবং চার্জিংকোয়ালিটি-

একটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছে পছন্দ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে এর চার্জার কোয়ালিটি।  কারণ বর্তমান সময়ে ব্যবহারকারীরা ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে তাদের পছন্দের লিস্টে সেই ফোনটি সবার আগে চলে আসে।  এই দিক থেকে স্মার্টফোনের এই ভার্সনটি অনেক এগিয়ে আছে।

কেন না এই মোবাইলে মাত্র 18 মিনিটে 70 পার্সেন্ট চার্জ সম্পন্ন করে থাকে।  যার জন্য ব্যবহারকারীরা খুব অল্প সময়ে তাদের মোবাইল ফোনটি চার্জার সম্পন্ন করে থাকে । এছাড়া এর ব্যাটারি তো দেয়া হয়েছে অনেক বেশি চার্জ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন।

iQOO ক্যামেরা ও অন্যান্য ফিচারস-

 ফটোগ্রাফি করতে কে না পছন্দ করেন।  আমি বলব সকলেই ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন। কেন বর্তমান সবাই সোসাল প্লাটফর্ম গুলোতে অংশগ্রহণ করে থাকেন ভিডিও বা ফটোগ্রাফি আপলোড করার মাধ্যমে । যার জন্য সকলেই ভাল মানের ক্যামেরা অনুসন্ধান করে থাকেন।  এই ক্যামেরার দিক থেকে এই স্মার্টফোনটি অনেক আপডেট।  কেননা এতে 48 মেগাপিক্সেল হাই রেজুলেশন একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।  যা দিয়ে আপনি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে এক্সট্রা কোন ক্যামেরার প্রয়োজন নেই।  তাই যারা ক্যামেরা পছন্দ বেশি করে থাকেন তাদের জন্য টপ রাংকিং এ থাকবে এ স্মার্টফোনটি । এছাড়াও এর অন্যান্য পারফরম্যান্স অনেক ভালো।  ভালো রকম ইন্টারনাল স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে।  যার জন্য আপনাকে এক্সট্রা কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার না করেই অনেক বেশি অডিও ভিডিও বা ডকুমেন্ট ধারণ করে রাখতে পারবেন ।

Vivo iQOO 9SE পারফরম্যান্স-

iQOO 9SE  মডেলের এই স্মার্টফোনটি এন্ড্রয়েড ভার্সন  12  আপডেট করা হয়েছে। যার ফলে এখানে সকল ধরনের অ্যাপস পারফরমেন্স অনেক ভাল পাওয়া যায়।  তাছাড়া এখানে দুই ভেরিয়েন্ট এর রং ব্যবহার করা হয়েছে।  প্রথমটি 8gb এবং দ্বিতীয় টি 12 জিবি।  যার ফলে আপনার সকল ধরনের পারফরম্যান্স ভালো পাওয়া যায়। ফোনটি কোন প্রকার স্লো হয় না।  সব সময় কাজ করতে থাকে। এন্ড্রয়েড জগতে বর্তমান সময় সর্বোচ্চ ভার্সন হচ্ছে 14।  কিন্তু এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েড 12।  অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় অনেক বেশি।  আমি মনে করি আপনি নিঃসন্দেহে স্মার্টফোনটি সংগ্রহ করতে পারেন।  এবং এখান থেকে অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাবেনা আশা করা যায়।

পরিশেষে আর কিছু বলার নেই।  আপনি যদি প্রতিনিয়ত এই ধরনের স্মার্ট টেকনোলজি রিলেটেড কন্টেন খুঁজে পেতে চান তাহলে আমি বলব আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করতে পারেন।

Leave a Comment