আপনি কি ভালো ক্যামেরার ফোন কিনতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছিমোবাইলের ক্যামেরা চেনার উপায়। আপনার মোবাইল ফোনে ভালো ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা জানতে অবশ্যই আপনাকে কেনার আগে যা যা দেখে নিবেন। অনেকে আপনি ফোন কিনে রাখে মনে করেন যে, আমি একটু ভালো ক্যামেরার ফোন কিনব কিন্তু ফোন কেনার সময় আপনি ভালো ক্যামেরার কোন চিনতে পারেন না।
আবার অনেকে আছেন যারা মনে করেন যে বেশি পিক্সেল হলেই বুঝি ক্যামেরা ভালো হয়। এরকম কোন ব্যাপারই নয়। অবশ্যই আপনাকে ফোন কিনার আগে, আপনার ক্যামেরাটি যাচাই করে নেয়া বাঞ্ছনীয়।
মোবাইলের ক্যামেরা চেনার উপায়
এই আর্টিকেলটি মাঝে আমরা আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করব কিভাবে একটি ভাল মানের ক্যামেরা মোবাইল ফোন ক্রয় করতে পারবেন, যে যে উপায়ে ফলো করলে আপনি একটি মোবাইলের ভালো মানের ক্যামেরা কিনতে পারবেন। অবশ্য আমাদের আর্টিকেলটি মোবাইলের ক্যামেরা চেনার উপায় ।
কেনার আগে যা যা দেখে নিবেন
মোবাইল কিনার আগে আপনাকে অবশ্যই যে জিনিস গুলো দেখে নিতে হবে সেগুলো হলো, মোবাইলের ক্যামেরা সব সময় বেশি পিক্সেল হবে না, তবে ভালো ভালো ছবি দেখা যাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেন্সর, জুম, প্রডাক্ট রিভিউ ইত্যাদি ভালো হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মেগাপিক্সেলই সব নয়
অনেকেই মনে করেন যে, মেগাপিক্সেল দেখেই মোবাইল ফোন কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে এটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। আপনার মোবাইলের ক্যামেরার কার্যদক্ষতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
আপনাকে অবশ্যই এই জিনিসগুলো ভালো করতে হবে যে, সঠিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, অটোফোকাস সক্ষমতা, ভালো ফ্ল্যাশ এবং জুম লেভেল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কম আলোয় ভালো ছবি
বর্তমান বাজারে এমন কিছু ফোন এসেছে যে অতি সুন্দর এবং ছবি তুলতে পারে, এগুলো একটি ভালো ক্যামেরার মোটামুটি একটি বৈশিষ্ট্য।
আপনার মোবাইলের ক্যামেরা যদি কম আলোতে একটি ভালো ছবি উঠাতে পারে একটি ক্যামেরা একটি গুণ। সব ক্যামেরা কম আলোতে ভালো ছবি তুলতে পারে না। অবশ্যই আপনাকে মোবাইল ফোন কেনার আগে কমালোই ভালো ছবি উঠবে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আরো দেখুন: – মোবাইলের ডিসপ্লে কাপে কেন? দেখে নিন সহজ সমাধান।
মোবাইলের ক্যামেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
আপনি বর্তমানে ফলো করে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি মহৎ গুণ। বর্তমান সময়ে যেগুলো বাজারে এসেছে তার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হয়েছে।‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরাও এখন চলে এসেছে।
আপনার ক্যামেরা যে সমস্ত অটো সেটিং আছে এগুলো নিজে নিজেই ঠিক করে নেবে। আর এই ক্যামেরা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, কোন পরিবেশে কতটুকু জুম, লাইট কিংবা ফ্ল্যাশ লাগবে তা সে বুঝে নেয়।
ক্যামেরা সেন্সর
মোবাইলের প্রসেসর যদি ফোনের প্রাণ হয় তাহলে সেন্সর কে বলা হয় ক্যামেরার হৃৎপিণ্ড। আপনার মোবাইলের সেন্সর যদি খুব ভালো কাজ করে তাহলে মোবাইলের ছবি অনেক সুন্দর এবং ভালো উঠবে।
আর ভালো সেন্সর চেনার উপায় হচ্ছে, আপনার মোবাইলের ক্যামেরা লাইট এর উপর রেখে ক্যামেরা সেনসর চেক করতে পারেন। যে সেন্সর বেশি লাইট সরবরাহ করতে পারে, সেই ক্যামেরাটি কেনা উচিত।
আরো দেখুন: –মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন ? মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস
ক্যামেরা জুম
আমাদের মোবাইলে যে সমস্ত ক্যামেরা ব্যবহার হয় তা প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, এক ডিজিটাল ক্যামেরা এবং অপটিক্যাল ক্যামেরা। আপনার মোবাইল দিয়ে যখন দূরে ছবি উঠাতে যাবেন তখন আপনার ক্যামেরা জুম প্রয়োজন পড়বে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ক্যামেরা আছে অপটিক্যাল ক্যামেরা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রোডাক্ট প্রিভিউ
এখন আমরা অবশ্যই বুঝতে পারছেন দেখে কি কি দেখে ব্যক্তি ভালো ক্যামেরা নির্বাচন করা যায়। এরপরেও যদি ভালো ক্যামেরা লক্ষণ কিন্তু সমস্যা হয় আপনাকে অবশ্যই ফোনের প্রোডাক্ট প্রিভিউ তা দেখে নিতে হবে। শোরুম থেকে আপনি যে ফোন কিনবেন সে প্রসঙ্গে একটি খাবার বাবদ প্রদান করা হবে।
আরো দেখুন: – মোবাইল ফোন ব্যাবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
সেই মলাটে প্রোডাক্টের রিভিউ লেখা থাকবে সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোন কিনতে সহায়তা করবে।সে ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট প্রিভিউ আপনাকে সাহায্য করবে। অবশ্যই আপনাকে প্রোডাক্ট প্রিভিউ এর মধ্যে মোবাইল ফোন কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
আরো কিছু তথ্য আপনার জানা দরকার যে আপনি যে ফোন-টোন কিনতে চাচ্ছেন আগে আপনার পরিচিত কেউ ব্যবহার করেছে কিনা। যদি ব্যবহার করে থাকে তার কাছ থেকে প্রোডাক্ট রিভিউ টা পেয়ে যেতে পারেন। এবং ক্যামেরা সম্পর্কে আপনাকে একটু মোটামুটি ধারণা দেবে বলে আশা করি। অবশ্যই ফোন কেনার আগে উপরোক্ত তথ্যগুলো জানা অবশ্যই গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।